সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

মজাৱ কথা

এলাকার মুরের চায়ের দোকানে,
বিভিন্ন স্কুল কলেজের
পাশে অথবা এলাকার
গলিতে আড্ডা মারে নাই এমন
পুলাপান খুব কমই আছে।
এই আড্ডাটা খারাপ বলবোনা, কিন্তু
আমরা মাঝে মাঝে এমন কিছু
করে বসি তাতে সেটা অসাজামিক
পর্যায়ে চলে যায়।
মেয়েদেরকে ইফটেজিং করার মত
দন্ডনীয় অপরাধ গুলোও করা হয়।
আজ সেইরকমি একটা কাহিনী শেয়ার
করি...
(সংগত কারনে এখানে ছব্দ নাম
ব্যবহার করছি)
-দুস্ত দেখ দেখ জটিল একটা মাল
আইতাছে, বোরকা পড়া মুখ
ঢাকা কিন্তু কি সুন্দর লাগতাছে...
- আরিফ তাকিয়ে দেখে বলল হু দুস্ত
জটিল মাল তো, এই জিনিস এতদিন কই
আছিল।
মেয়েটা যখন ওদের cross
করে যাচ্ছিল..
- আরিফ বলে উঠলো মালটার চোখ
গুলা যেই সুন্দর, ভিতরটা না জানি কত
সুন্দর..
- সবাই হু হু করে হেসে উঠলো, শিষ
বাজাতে থাকলো...
আরো আজেবাজে কথা বলে ওরা হাসাহাসি করতে লাগলো..
তারপর..
দুপুরের দিকে যে যার
বাড়িতে চলে গেল। আরিফ
দুপুরে খেতে বসছে এমন সময় ওর বোন
কেয়া কলেজ থেকে বাসায় ফিরেছে।
- কেয়া আরিফের সামনে এসে বলল
ভাইয়া মালটার চোখ গুলো খুব সুন্দর
তাই না..... ছিঃ
- আরিফ বোনের দিকে তাকালো,
উঠে দাড়িয়ে বাড়িতে থেকে বেড়িয়ে গেল।
সেই যে গেল ৬-৭ মাস আর বাড়িতেই
ফেরেনি।বোরকা পড়া অবস্থায়
নিজের বোনকে চিনতে পারে নাই।
নিজের বোন নিজের
দ্বারা ইফটিজিংয়ের স্বীকার ...।
কোন মুখ নিয়ে বোনের
সামনে দাড়াবে...
# পরবর্তীকালে_আরিফের_জীবনে_
আমূল_পরিবর্তন_এসেছিল ।
এরকম ঘটনা যে আপনার
জীবনে ঘটবে তা কিন্তু নয়। কিন্তু যখন
অন্যের বোনকে ইফটিজিং করি তখন
যেন অন্তত নিজের বোনের কথা একটু
চিন্তা করি। অনেকে বলে আমার
কোন বোন নাই, আমার কোন
চিন্তা নাই। ভাই আপনার মা ও
কিন্তু একজন নারি। উনার গর্ভেই
আপনার জন্ম। কোন নারিকে অসম্মান
করার আগে নিজের মার কথা একবার
চিন্তা করুন।
লিখাঃ কনফিউজড ফিলিং

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন